Saturday, May 24, 2014

চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সংকট



মে ২৪, ২০১৪, শনিবার : জ্যৈষ্ঠ ১০, ১৪২১
(বাতায়ন)
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সংকট
মোঃ মুজিবুর রহমান
প্রকাশ : ২৪ মে, ২০১৪
দেশের সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন বড় রকমের সংকটের মুখে পড়েছে। এ সংকট দিন দিন এমন এক রূপ নিচ্ছে যে এর হাত থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ এখন খোলা আছে কি-না- এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার দুরবস্থা নিয়ে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে আসছে। এসব প্রতিবেদনে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উত্থাপন করা হয় রোগী বা রোগীর আত্মীয়স্বজনদের পক্ষ থেকে। যদি কখনও কোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বা চিকিৎসার জন্য আসা কোনো রোগীর মৃত্যু হয়, তখন প্রায়ই চিকিৎসকদের পড়তে হয় সংঘবদ্ধ আক্রমণের মুখে। ঘটনাক্রমে শুধু চিকিৎসকদের ওপর এ আক্রমণ সীমিত থাকে না, একসময় এটা ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম, ক্ষতি করা হয় আসবাবপত্রের। চিকিৎসকরাও সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ধর্মঘট করেন। ফলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা একরকম ভেঙে পড়ে; দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ রোগীরা।
সাম্প্রতিককালে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি লক্ষণীয়। বিশেষ করে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের ভালো সম্পর্ক যাচ্ছে না ইদানীং। চিকিৎসকদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে সেটা বোঝা গেছে মাসখানেক আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে হাসপাতালের দেয়ালে সাঁটিয়ে দেয়া একটি বিজ্ঞপ্তি দেখে। ওই মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নামে প্রচারিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছিল, দালাল ও সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। এ বিজ্ঞপ্তিটি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল তখন। এরপর হাসপাতালের বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটিয়ে দেয়া কিছু বিজ্ঞপ্তি অপসারণও করা হয়েছিল তাৎক্ষণিকভাবে। এর বাইরে কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্নি ও অনারারি চিকিৎসকদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা মনে রাখতে হবে চিকিৎসকদের।
তবে আমাদের সমাজব্যবস্থায় মানবশ্রেণীর পারস্পরিক আচরণ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে সেটা খুলে বলার দরকার পড়ে না। আজ শুধু চিকিৎসক নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সমাজের প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক আচরণ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বললে বাড়িয়ে বলা হয় না। সাংবাদিকদের বড় সুবিধা, তারা অন্যদের কথা সহজে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু কেন অসহিষ্ণু আচরণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, সেটাও তুলে ধরা দরকার। কারণ সমাজে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে যে, শুধু চিকিৎসকরাই অসহিষ্ণু আচরণ করছেন, অন্য কেউ নন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনদের প্রতি কিছু চিকিৎসকের অসহিষ্ণু আচরণ সমর্থনযোগ্য না হলেও প্রশ্ন ওঠে, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এ সংকট কী কারণে সৃষ্টি হয়েছে? এটা উদ্ঘাটন করা জরুরি।
অস্বীকার করার উপায় নেই, মেধাবীরাই মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়ালেখা করার জন্য এগিয়ে আসেন। কিন্তু যারা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে জটিল চিকিৎসা বিজ্ঞান অধ্যয়ন করে চিকিৎসক হন, তাদের জন্য সরকারি চাকরি লাভের ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ নেই। বিস্ময়ের ব্যাপার, যিনি চিকিৎসক হবেন বা হয়েছেন তার পড়ার টেবিলে থাকার কথা বিশ্বের সেরা মেডিকেল রিসার্চ জার্নাল, থাকার কথা চিকিৎসাবিদ্যার আধুনিক বই। অথচ দেখা যায়, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পড়ার টেবিলে থাকে কীভাবে বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা যায় তার উপায় সংবলিত গাইড বই। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েই তারা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি লাভের দুশ্চিন্তায় ভোগেন। বিসিএস পরীক্ষার গাইড বই রোগীর চিকিৎসায় কী কাজে লাগে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পর তারা সময় ব্যয় করেন বিভাগীয় ও পদোন্নতি পরীক্ষায় পাস করার জন্য। অবশ্য চিকিৎসকদের পদোন্নতি নেই বললেই চলে। বহু বছর ধরে একই পদে কর্মরত থেকে তারা নিজেরাই যখন হতাশায় নিমজ্জিত হন, তখন তাদের দিয়ে কীভাবে সুচিকিৎসা আশা করা যায়? আমাদের চাকরি কাঠামোর দুর্বলতা হল, যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিই হয়েছেন তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে, তারা চিকিৎসক হওয়ার পর তাদের জন্য সরকার সরাসরি কোনো চাকরির ব্যবস্থা করতে পারছে না। এর একটাই কারণ, সব চাকরিকে একটি নির্দিষ্ট ধারায় নিয়ে আসার জন্য আশির দশকে সৃষ্টি করা হয়েছিল সিভিল সার্ভিস ক্যাডার ব্যবস্থা। এ ক্যাডারে প্রবেশের চেষ্টায় যখন নিজের পেশার বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় চিকিৎসকদের, তখন তাদের মাধ্যমে ভুল চিকিৎসার আশংকা থেকে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন।
অনেকেই চিকিৎসকদের মানবিক হওয়ার ব্যাপারে জোর দেন। আমরা অস্বীকার করি না, চিকিৎসা পেশা একটি মহৎ ও সেবামূলক পেশা। চিকিৎসকদের অবশ্যই মানবিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। কিন্তু মানবিকতা শুধু একপাক্ষিক ব্যাপার নয়। চিকিৎসকদের প্রতিও মানবিক আচরণ করতে হবে। আজ চিকিৎসকদের প্রতি যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, সেটাকেও মানবিক বলা যায় না কিছুতেই।
এমনিতেই প্রতিদিন বহু সচ্ছল রোগী উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু যাদের অর্থবিত্ত নেই তারা কোথায় যাবেন? এখন চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে যে ধরনের সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, সেটার পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন আছে কি-না তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের উদীয়মান চিকিৎসা খাতকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে ভেতরে ভেতরে- এমন আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
চিকিৎসকদের সঙ্গে সর্বশেষ (অবশ্য এটা সর্বশেষ কি-না সেটা নিশ্চিত নয়) অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সিলেট সরকারি মেডিকেল কলেজে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ করে নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশও দেয়া হয়েছে অবস্থানকারীদের। কিন্তু নার্সরা হোস্টেল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ নিয়ে দেশের চিকিৎসা খাতে বিরাজ করছে অস্থিরতা। এসব কারণে দেশজুড়ে চিকিৎসকরা চরম আতংকে রয়েছেন। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ আতংকে থেকে সুচিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয় কোনো চিকিৎসকের পক্ষেই। ফলে আরও দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
আমরা চাই, সবার জন্য নিরাপত্তামূলক আইন প্রণয়ন করা হবে এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, মানবিক ও সহিষ্ণু আচরণ করায় অভ্যস্ত হতে হবে সবাইকে। তাহলে শুধু চিকিৎসা খাত নয়, বরং সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করবে সহনশীল পরিবেশ। এটাই প্রত্যাশিত।
মোঃ মুজিবুর রহমান : সহযোগী অধ্যাপক, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
mujibur29@gmail.com
http://www.jugantor.com/window/2014/05/24/102831 

Wednesday, May 21, 2014

অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?



ঢাকা, বুধবার ২১ মে ২০১৪, জ্যৈষ্ঠ ১৪২১, ২১ রজব ১৪৩৫
(উপসম্পাদকীয়)
শিক্ষা
অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যকী?
মো. মুজিবুর রহমান
এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম পাসের হার প্রায় একশ' কাছাকাছি পৌঁছে গেছে প্রকাশিত ফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এবার মাধ্যমিকে গড় পাসের হার ৯২.৬৭ ভাগ কোনো কোনো বোর্ডে পাসের হার ৯৪ ভাগেরও বেশি বোর্ডভিত্তিক ফল বলছে, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৩৪ ভাগ, ঢাকা বোর্ডে ৯৩.৯৪, দিনাজপুর ৯৩.২৬, যশোর ৯২.১৯, চট্টগ্রাম ৯১.৪০, বরিশাল ৯০.৬৬, কুমিল্লা ৮৯.৯২, মাদরাসা বোর্ডে ৮৯.২৫, সিলেট বোর্ডে ৮৯.২৩ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.৯৭ ভাগ পরিসংখ্যান পরীক্ষার্থীদের পাসের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতির প্রমাণ বহন করে যেসব পরীক্ষার্থী সাফল্য অর্জন করেছে আমরা সুযোগে তাদের অভিনন্দন জানাই
এখানে বলা দরকার, এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষার ফলে আশাব্যঞ্জক উন্নতি ঘটলেও এর বিপরীতে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হচ্ছে অবশ্য বছর পাসের হার আগের বছরের তুলনায় আরো বেড়ে যাওয়ায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা এক লাখের বেশি কিন্তু এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়, এক লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার কারণ কী? তাদের ভবিষ্যৎই বা কী? অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের জন্য এখন আমাদের কী করা দরকার?
আগেই বলা হয়েছে, আমাদের দেশে প্রতিবছর এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হচ্ছে বিগত বছরগুলোয় এসএসসি পরীক্ষায় দুই লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছিল আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, পরীক্ষায় যারা ভালো ফল করে কেবল তাদের নিয়েই গণমাধ্যমসহ প্রায় সব মহলে ব্যাপক প্রশংসা করতে দেখা যায় সাফল্যের আনন্দে উচ্ছ্বসিত পরীক্ষার্থীদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশিত হয় মিডিয়ায় পরীক্ষায় ভালো করা সেরা স্কুল-কলেজের প্রধানদের প্রতিক্রিয়া অভিমতও প্রকাশিত হয় একই সঙ্গে কেন এবং কিভাবে ভালো ফল হলো তার যত কলাকৌশল রয়েছে সেগুলো উঠে আসে এসব আলোচনায় আলোচনা হয় ভালো ফল করার পেছনে বিভিন্নমুখী প্রচেষ্টা এবং শিক্ষার মান নিয়ে অথচ ফেল করা পরীক্ষার্থীদের নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাই হয় না বলতে গেলে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা একরকম আড়ালে থেকে যায় এটাই শিক্ষা নিয়ে আমাদের চিন্তা-চেতনার এক দুর্বল দিক বলে মনে করি
সন্দেহ নেই, যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তারা অনেকটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে তাদের পরিবারের কাছ থেকে এমনকি স্কুলের কাছ থেকেও তারা সচরাচর কোনো ইতিবাচক আচরণ পায় না শুধু তাই নয়, ফেল করা পরীক্ষার্থীদের সবাই অন্য চোখে দেখে তাদের খবর কেউ রাখে না ফলে তারা নিজেদের অবাঞ্ছিত মনে করে কেন তারা ফেল করল, কী করলে তারা আগামীতে পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে এমন উদ্যোগ পরিকল্পনা নিয়েও কেউ তাদের কাছে এগিয়ে যায় না বললেই চলে অথচ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা দরকার, যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তারা যদি ভবিষ্যতে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে ভালো করার কোনো উত্সাহ না পায়, তাদের সামনে যদি কোনো সঠিক পথ তুলে ধরা না হয় তাহলে একসময় তারা হারিয়ে যাবে পড়ালেখার জগত্ থেকে অনেকেই পড়ালেখার মূল ধারা থেকে ছিটকে পড়ে বিপথগামী হয় কেউ কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে অনেকটা না জেনে-বুঝেই এভাবে তারা পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রের জন্য বিরাট বোঝা হিসেবে আবির্ভূত হয় এসব ঘটে তারা বয়ঃসন্ধিকালের শিক্ষার্থী হওয়ার ফলে কারণ সময় তারা অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কাজেই যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তাদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন তারা যাতে পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী হয় সেজন্য নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের প্রতি করতে হবে ইতিবাচক আচরণ তাদের উত্সাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই দরকার হলে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যয় হরাসের পদক্ষেপসহ আর্থিকভাবে সহায়তা করার পরিকল্পনাও নিতে হবে আর যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফল ভালো হয়নি সে সব প্রতিষ্ঠানকে আরো ভালো করার উদ্যোগ নিতে হবে দ্রুত
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
mujibur29@gmail.com